করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন সতর্কতা ও নির্দেশনা



করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন সতর্কতা ও নির্দেশনা

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা। বিদ্যালয় খোলা রাখা সঠিক সিদ্ধান্ত কি না—এই প্রশ্নও উঠছে নানা মহলে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।

📢 বিদ্যালয় বন্ধ নয়, সতর্কতা বাড়ানো হবে

২০ জুন (শুক্রবার) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি বলেন,

“বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। আগামী রোববার (২২ জুন) থেকেই বিদ্যালয় খুলছে এবং সংক্রমণ রোধে যে স্বাস্থ্যবিধিগুলো রয়েছে, তা সবাইকে মেনে চলতে হবে।”

এছাড়াও তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা সন্তানদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করেন।


🦟 ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবেলায় বিশেষ ক্যাম্পেইন

শুধু করোনা নয়, ডেঙ্গু নিয়েও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ১৫ জুন মাউশি একটি নির্দেশনা জারি করে জানায়, দেশব্যাপী ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

ডেঙ্গু সচেতনতা ক্যাম্পেইন:

  • শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা
  • র‍্যালি, দেয়াল পত্রিকা, পোস্টার তৈরি
  • লিফলেট বিতরণ

নজরদারি ও তদারকি:
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও নিয়মিত তদারকির।


🛡️ করোনা প্রতিরোধে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ নির্দেশনায় করোনা প্রতিরোধে যেসব নিয়ম মানতে বলা হয়েছে, তা হলো:

  1. ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা
  2. জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলা ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক
  3. অন্যদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা
  4. চোখ, নাক, মুখে হাত দেওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করা
  5. কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ঢাকতে টিস্যু, রুমাল বা কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করা

📌 উপসংহার

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ নয়, বরং সতর্কতা এবং সচেতনতা বাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের জন্যই একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব।

আমরা সকলে সচেতন হলে—করোনা বা ডেঙ্গু, কোনটাই আমাদের থামাতে পারবে না।



Post a Comment

0 Comments